ফেসবুক ব্লক আর হবেইনা। বিকল্প পদ্ধতি।

আজ আমি সবাইকে একটি চমকপ্রদ সংবাদ দিতে চাই। বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশের তরুনরা তৈরী করেছে সার্চ ইঞ্জিন পিপিলিকা ডট কম। এবার আরেকদল তরুন তৈরী করল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট! তাও আবার বাংলাদেশী!! কথাটি অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি!!! তথ্য-প্রযুক্তিতে যে বাংলাদেশীরাও কোন অংশেই পিছিয়ে নেই, তা আবারো প্রমানিত হলো। এতোদিন বাংলাদেশী সাইট হিসেবে দেশ মাতিয়ে রেখেছিলো বেশতো ডট কম। তার পাশে এবার উচ্চারিত হলো আরেকটি নামঃ ওসাইবার ডট কম।
এটার কার্যপদ্ধতি অনেকটাই ফেসবুকের মত, তবে ফেসবুকের ক্লোন বললে ভুল হবে। এখানে ফ্রেন্ড কিকুইস্ট, লাইক, কমেন্ট, চ্যাট ইত্যাদি সব ধরনের সুবিধাই যুক্ত রয়েছে। তবে ইন্টারফেসটা ভিন্ন। এই সাইটের প্রথম উদ্ভোদন করা হয় গত ২০১৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। উদ্ভোদন করার প্রথম দিনেই এর সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ১২০০(প্রায়)। এরপর চলতি মাসের ২ তারিখে সাইট হঠাৎ কোন কারনে ক্রাশ করে এবং ডেটাবেজের সব তথ্য মুছে যায়। অনেকে সাইট হ্যাকিং এর কবলে পরেছে বলে মন্তব্য করেন। তবে যা-ই হোক, আসল কারন জানা যায়নি বা জানা সম্ভব হয়নি। এরপর সাইটটাকে আবার নতুন করে নির্মান করে সম্পুর্ন চালু করে দেওয়া হয়।
হ্যা, অনেক কথা বললাম, কিন্তু এই সাইটটা কে নির্মান করেছে, এই বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। এই সাইটটি তৈরী করেছেন বাংলাদেশের দুইজন তরুনরা, নাম মোস্তফা কামাল এবং এইস কে হাসান খাঁন। তারা ময়মনসিংহ জেলার অধিবাসী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। তারা মিলে এই সাইটটি তৈরী করেন। তার সাথে ই-মেইলে যোগাযোগ করলে তিনি যে বার্তা প্রেরন করেন, তার কিছুটা অংশ হুবহু তুলে ধরছি এখানে, “আমি স্বপ্ন দেখেছি, এদেশের মানুষকে নিয়ে। আমি কিছু একটা করতে চাই এদেশের ইন্টারনেট পাগল তরুণ-তরুণীদের জন্য। এমনই স্বপ্ন ছিলো আমার মনে। এরপর কোন এক সুন্দর স্বপ্নীল সকালে শিশির ভেজা ঘাসের উপর দিয়ে নগ্ন পায়ে হাটতে হাটতে ভাবছিলাম, ইন্টারনেটের বর্ণিল জগত নিয়ে। এরপর হঠাৎ বন্ধুর ফোন, অতঃপর কিছু বন্ধুত্বসুলভ কথা। এমন সময় আইডিয়াটা দুজনের ব্রেনেই আসলো। হ্যা, আমরা তৈরী করব আমাদের বাংলাদেশী সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। ডোমেইন? 2012 তে নিয়েছিলাম http://www.ocyber.com. আমার পার্সোনাল ব্লগ, বেশ পপুলার। এটাকে নতুন রুপ দিলে কেমন হয়? বাহ, বেশ আইডিয়া। অতঃপর একদিন আবার নতুন করে নির্মানের কাজ শুরু করলাম আমার বর্তমান সাইটে।
এভাবের আমার ব্লগ সাইট রূপান্তরিত হলো সামাজিক যোগাযোগের সাইটে। ভাবলাম, কোত্থেকে ভিজিটর আসবে আমার সাইটে? কিন্তু আমার বেশি ভাবতে হলোনা। পরীক্ষামুলক সাইটেই প্রথম দিনের সদস্য হাজার ছাড়িয়ে গেল…“
এভাবে তিনি তার সাইটের শুরুর কথা বলেছেন। এছাড়া তিনি মেইলে সাইটের ভবিষ্যত নিয়ে বেশকিছু বলেছেন। তার কিছুটা তুলে ধরলাম, “…এর শুরুটা ঠিক সেভাবেই হয়েছে, যেভাবে উরন্ত শিমূলবীজ মাটিতে পরে, তারপর চারা গজায়। জানিনা, এর ভবিষ্যত কি। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাব, একে ধরে রাখার জন্য।” আরো অনেক কথা তিনি বলেছেন। সব এখানে উল্লেখ করছিনা। তাকে অনেকটা সাহিত্যিক মনের মানুষ মনে হয়েছে। জানিনা, ইঞ্জিনিয়াররা সাহিত্যিক হয় কিনা।
যা-ই হোক, এটি আমাদের তথ্যপ্রযুক্তির জগতের এক নতুন মাইলফলক। সবে তো এর শুরু, দেখা যাক, কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে গড়ায়। ইয়ে মানে, সাইটের পরের অবস্থা কতটুকু উন্নত বা অবনত হয়।
এই সাইটের ইউআরএল হচ্ছে http://www.ocyber.com. আর আমার প্রোফাইল দেখতে পারেন এই লিঙ্ক থেকে…
তাহলে আর দেরী কেন? আজই ভিজিট করুন oCYBER, আর শুরু করুন আমাদের স্বদেশী সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট।
[বিঃদ্রঃ পোস্টটি আর এক বার করা হয়েছিল। মানুষ মাএই ভূল কাজেই ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরুধ জানাচ্ছি।]


No comments:

Powered by Blogger.